রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মিয়ানমারে বিস্ফোরণে মুহুর্মুহু শব্দ, টেকনাফের বসত ঘরের আঙ্গিনায় এসে পড়েছে গুলি মাকে কুপিয়ে হত্যার পর থানা এসে হাজির যুবক টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ

টেকনাফে অপহৃত ৫ রোহিঙ্গা শিশু মুক্তিপণ দিয়ে ৪ দিন পর ফিরেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফের দমদমিয়া ন্যাচার পার্ক থেকে অপহৃত ৫ রোহিঙ্গা শিশু ৪ দিন পর ফিরেছে। পাঁচ লাখ টাকার মুক্তিপণ দেয়ার পর শনিবার ভোরে এদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে করেছেন ভূক্তভোগী পরিবারগুলো।

ফেরত আসা শিশুরা হল, টেকনাফের নয়াপাড়ার রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের সি বøকের হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. বেলাল (১৩), মোহাম্মদ ইলিয়াসের ছেলে নূর কামাল (১২), উবায়দুল্লাহর ছেলে নূর আরাফাত (১২), বি বøকের মো. রফিকের ছেলে ওসমান (১৪), ডি বøকের মাহাত আমিনের ছেলে নুর কামাল (১৫)।

সন্ত্রাসীরা তাদের ছেড়ে দেয়ার পর ফিরে আসার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা। তবে তিনি মুক্তিপণের টাকা দেয়ার বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়েছেন।

নয়াপাড়ার রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মো. একরাম জানিয়েছেন, গত ২৪ এপ্রিল সোমবার দুপুরে ন্যাচার পার্ক এলাকা থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এরপর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। গত চারদিন তাদের সঙ্গে দর কষাকষি করার পর জনপ্রতি এক লাখ করে তাদের দেখিয়ে দেওয়া স্থানের রেখে আসলে পরে অপহৃতদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

পুলিশ সুপার মো.জামাল পাশা বলেন, দমদমিয়া ন্যাচার পার্ক এলাকা থেকে তারা অপহরণের শিকার হয়। তবে মুক্তিপণ দাবির বিষয় নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো তাঁদের কিছুই জানায়নি।এর মধ্যে তাদের উদ্ধারের জন্য পুলিশ ও এপিবিএন পুলিশ দিন-রাত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। হয় তো অভিযানের কারণে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে।

টেকনাফ থানার ওসি মো. আবদুল হালিম বলেন, অপহরণের ঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের অভিযোগ দেওয়া হয়নি। এরপরও পুলিশ তাদেরদের উদ্ধারের জন্য চালানো আসছিল।

এ নিয়ে গত ৭ মাসে টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক ৫৮ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888